সাবেক সামরিক কর্মকর্তা মেজর সাদিককে ঘিরে চলমান রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ইস্যুতে তার একক ভূমিকার বাইরে আরও বহুস্তরীয় নেটওয়ার্ক উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে আন্দোলন সংশ্লিষ্ট সূত্র। এই ষড়যন্ত্রে সক্রিয় সহযোগিতা ও পরিকল্পনায় জড়িত রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কিছু প্রভাবশালী নেতা, পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক উচ্চপদস্থরা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পরিচালিত প্রশিক্ষণ ও গোপন মিটিংগুলোতে সহযোগিতার মূল ভূমিকায় ছিলেন:
বরগুনা যুবলীগ নেতা সোহেল রানা,
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা,
এবং মেহেরপুর যুবলীগ আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন।
বিদেশে বসেই কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা তত্ত্বাবধান?
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, ভারতের কলকাতার সল্টলেক এলাকার একটি বাসা থেকে সরকার উৎখাতের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তাকে সহযোগিতা করছেন:
ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান,
এবং আরও কয়েকজন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
এছাড়াও দিল্লিতে অবস্থানরত পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি ও এসবি’র সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং
ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান এই ষড়যন্ত্রে কৌশলগত সমর্থন ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি:
বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি সমন্বিত রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, যেখানে সামরিক, বেসামরিক এবং প্রবাসী শক্তি—তিনটি ধারা একত্র হয়ে একটি সাংগঠনিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
এ ধরনের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করেই যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে লুকানো ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলো ভবিষ্যতে বড় ধরনের সহিংসতা ছড়ানোর ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও জবাবদিহিতা দাবি:
এইসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি, দ্রুত দেশে ফেরত আনা এবং সর্বোচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন,
“এটা কেবল রাজনৈতিক চক্রান্ত নয়—এটি একটি কাঠামোগত বিদ্রোহ। কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব।”