রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘জুলাই ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থান: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয়’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা। একইসাথে উন্মোচন করা হলো ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে রচিত বই ‘২য় স্বাধীনতার শহীদ ও আহত যারা’–এর ইংরেজি ও আরবি ভার্সন।
এই আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। যেখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ, তাদের আত্মত্যাগকে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরা—সেই কাজটি রাষ্ট্র করেনি। কিন্তু জামায়াত নিজ উদ্যোগে সেই দায়িত্ব নিয়েছে, এবং ইতিহাসের পাতায় একটি সাহসী ভূমিকার স্বাক্ষর রেখে গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বই শুধু একটি প্রকাশনা নয়, বরং এটি একটি ঐতিহাসিক দলীল—যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আন্তর্জাতিকীকরণে মাইলফলক হয়ে থাকবে। আলোচনায় বক্তারা শহীদদের স্মরণ করে বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে যারা অবহেলিত, তারা জাতির বিবেকের মধ্যে অমর হয়ে থাকবেন। জামায়াতের এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সত্য ইতিহাস তুলে ধরার একটি অপরিহার্য সূত্র হয়ে থাকবে।
এ আয়োজন প্রমাণ করে, দেশের ইতিহাস যখন বিকৃতির শিকার হয়, তখন বিকল্প শক্তি হিসেবে দায়িত্ব নেয় যারা বিশ্বাস করে শহীদদের রক্ত কখনও বৃথা যেতে পারে না।