মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সদ্য নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক (অ্যাক্টিং অ্যাডমিনিস্ট্রেটর) হিসেবে পরিবহন মন্ত্রী শন ডাফিকে নিয়োগ দিয়েছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই তিনি ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন চাঁদে একটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে নাসার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো দ্বিতীয় মহাকাশ দৌড়ে বিজয়ী হওয়া।”
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের টপকে চাঁদের বুকে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই এ পরিকল্পনা। চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের বৈজ্ঞানিক গবেষণা, মানববসতি ও মহাকাশ অভিযানের জন্য টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
নাসা এর আগেও চাঁদে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করেছে। তবে এই প্রথম এত উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ সরাসরি এ ধরনের উদ্যোগের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন।
মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম মহাকাশ প্রতিযোগিতার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। এবার চাঁদে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার এবং আধিপত্যের নতুন দৌড়ে নেতৃত্ব নিতে চায় আমেরিকা।