বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৭, ২০২৫
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • রাজনীতি
    • বিএনপি
    • আওয়ামী লীগ
    • জামায়াত
    • এনসিপি
    • অন্যান্য
  • আন্তর্জাতিক
  • বিশ্লেষণ
  • মতামত
  • ইসলাম
  • খেলা
  • ফিচার
  • ফটো
  • ভিডিও
  • বিবিধ
    • শিক্ষাঙ্গণ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • রাজনীতি
    • বিএনপি
    • আওয়ামী লীগ
    • জামায়াত
    • এনসিপি
    • অন্যান্য
  • আন্তর্জাতিক
  • বিশ্লেষণ
  • মতামত
  • ইসলাম
  • খেলা
  • ফিচার
  • ফটো
  • ভিডিও
  • বিবিধ
    • শিক্ষাঙ্গণ
No Result
View All Result
No Result
View All Result
হোম ইসলাম

যুগে যুগে জালিমের পরিণতি

মাওলানা মুহাম্মাদ ফজলুল বারী

- তুহিন সিরাজী
আগস্ট ৬, ২০২৫
A A
যুগে যুগে জালিমের পরিণতি
Share on FacebookShare on Twitter

২০২৪ সালে বিশ্বের দুই বড় জালিমের পতন হয়েছিল। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার এবং ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের। উভয়েই স্বজাতির স্বার্থের বিরুদ্ধে বিদেশিদের তোষণ করে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। উভয়ই নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে জনরোষ থেকে প্রাণ বাঁচান। এটা তাদের দুনিয়ার পতন, তবে জালিমের আসল শাস্তি রয়েছে আখিরাতে।

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আল্লাহ যুগে যুগে জালিমদের পাকড়াও করেছেন। তথাপি যুগে যুগে নতুন জালিমের সৃষ্টি হয়। তারা নিজেদের সর্বক্ষমতার অধিকারী ভেবেছিল, ঔদ্ধত্য দেখিয়েছিল ও জুলুম করেছিল। বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহ তাদের দৃষ্টান্তস্বরূপ পেশ করেছেন, যাতে পরবর্তী সময়ে যারা আসবে তারা শিক্ষা লাভ করতে পারে। ‘আমি কারুন, ফিরাউন ও হামানকে ধ্বংস করেছিলাম। মুসা তাদের কাছে উজ্জ্বল নিদর্শন নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু তারা ভূমিতে দম্ভ করল, তারা আমার শাস্তি এড়াতে পারেনি।

প্রত্যেককেই আমি তাদের পাপের কারণে পাকড়াও করেছিলাম; তাদের কারো প্রতি প্রেরণ করেছি প্রস্তরসহ প্রচণ্ড ঝটিকা, কাউকে আঘাত করেছিল মহানাদ, কাউকে আমি ধসিয়ে দিয়েছিলাম ভূগর্ভে এবং কাউকে করেছিলাম নিমজ্জিত। আল্লাহ তাদের প্রতি কোনো জুলুম করেননি; তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল। …আমি মানুষের কল্যাণার্থে এসব দৃষ্টান্ত দিয়ে থাকি, কিন্তু জ্ঞানী ব্যক্তিরাই কেবল তা বোঝে।’ (সুরা আনকাবুত : ৩৯-৪৩)

নিচে পৃথিবীর ক্ষমতাধর কয়েকজন জালিমের জুলুম ও তাদের পরিণতি তুলে ধরা হলো—

ক্ষমতার দাপটে ও ঔদ্ধত্যে বিভোর ফিরাউন

  • ফিরাউন জমিনে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল এবং সে তার অধিবাসীদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেছিল। তাদের একটি শ্রেণিকে সে অত্যন্ত দুর্বল করে রেখেছিল, যাদের পুত্রদের সে জবাহ করত ও নারীদের জীবিত রাখত। প্রকৃতপক্ষে সে ছিল বিপর্যয় সৃষ্টিকারী। (সুরা কাসাস : ৪)
  • ফিরাউন সম্প্রদায়ের নেতারা (ফিরাউনকে) বলল, আপনি কি মুসা ও তার সম্প্রদায়কে মুক্ত ছেড়ে দেবেন, যাতে তারা (অবাধে) পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনাকে ও আপনার উপাস্যদের বর্জন করতে পারে? সে বলল, আমরা তাদের পুত্রদের হত্যা করব এবং তাদের নারীদের জীবিত রাখব, আর তাদের ওপর আমাদের পরিপূর্ণ ক্ষমতা আছে। (সুরা আরাফ : ১২৭)
  • ফিরাউন বলল, কী! আমি অনুমতি দেওয়ার আগেই তোমরা এই ব্যক্তির প্রতি ঈমান আনলে? নিশ্চয় এটা কোনো চক্রান্ত। তোমরা এই শহরে পারস্পরিক যোগসাজশে এই চক্রান্ত করেছ, যাতে তোমরা এর বাসিন্দাদের এখান থেকে বহিষ্কার করতে পার। আচ্ছা, তোমরা শিগগিরই এর পরিণাম জানতে পারবে। আমি তোমাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব, তারপর তোমাদের সবাইকে শূলে চড়াব। (সুরা আরাফ : ১২৩-১২৪)
  • সে বলল, আমিই তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক। পরিণামে আল্লাহ তাকে পাকড়াও করলেন আখেরাত ও দুনিয়ার শাস্তিতে। যে ভয় করে তার জন্য অবশ্যই এতে রয়েছে শিক্ষা। (সুরা নাজিয়াত : ২৪-২৬)

ঔদ্ধত্যের কারণে ফিরাউন ও কওমের পরিণতি

ফিরাউন ও তার বাহিনী জমিনে অন্যায় অহমিকা প্রদর্শন করেছিল। তারা মনে করেছিল তাদের আমার কাছে ফিরে আসতে হবে না। সুতরাং আমি তাকে ও তার সৈন্যদের পাকড়াও করলাম এবং সাগরে নিক্ষেপ করলাম। এবার দেখো, জালিমদের পরিণতি কী হয়ে থাকে! (সুরা কাসাস : ৩৯-৪০)

কারুন ও তার পরিণতি

‘কারুন ছিল মুসার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি। কিন্তু সে তাদেরই প্রতি জুলুম করল। আমি তাকে এমন ধনভান্ডার দিয়েছিলাম, যার চাবিগুলো বহন করা একদল শক্তিমান লোকের পক্ষেও কষ্টকর ছিল। স্মরণ করো, তার সম্প্রদায় তাকে বলেছিল, দম্ভ করো না, নিশ্চয় আল্লাহ দাম্ভিকদের পছন্দ করেন না। …সে বলল, এসব তো আমি আমার জ্ঞানবলে লাভ করেছি। সে কি জানত না যে, আল্লাহ তার আগে এমন বহু মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছিলেন, যারা শক্তিতেও তার অপেক্ষা প্রবল ছিল এবং লোকবলেও বেশি ছিল? অপরাধীদের তাদের অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেসও করা হয় না। …পরিণামে আমি তাকে তার প্রাসাদসহ ভূগর্ভে ধসিয়ে দিলাম। তার সপক্ষে এমন কোনো দল ছিল না, যারা আল্লাহর শাস্তি থেকে তাকে সাহায্য করতে পারত এবং সে নিজেও পারল না আত্মরক্ষা করতে। … ওই পরকালীন নিবাস তো আমি সেই সব লোকের জন্যই নির্ধারণ করব, যারা পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য দেখাতে ও ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে চায় না। শেষ পরিণাম তো মুত্তাকিদের অনুকূলেই থাকবে।’ (সুরা কাসাস : ৭৬-৮৩)

নমরুদ ও তার পরিণতি

তুমি কি ওই ব্যক্তির অবস্থা চিন্তা করনি, যাকে আল্লাহ রাজত্ব দান করার কারণে সে নিজ প্রতিপালকের (অস্তিত্ব) সম্পর্কে ইবরাহিমের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়? যখন ইবরাহিম বলল, তিনি আমার প্রতিপালক যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যুও ঘটান। তখন সে বলল, আমিও তো জীবন দান করি ও মৃত্যু ঘটাই। ইবরাহিম বলল, আচ্ছা, আল্লাহ তো সূর্যকে পূর্ব থেকে উদিত করেন, তুমি তা পশ্চিম থেকে উদিত করো তো! এ কথায় সে কাফের নিরুত্তর হয়ে গেল। আর আল্লাহ এরূপ জালিমদের হেদায়েত করেন না। (বাকারা ২ : ২৫৮)

পৃথিবীতে প্রথম ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারী ছিল নমরুদ। সে-ই আসমান অভিমুখে টাওয়ার নির্মাণ করেছিল। আল্লাহ তাকে শায়েস্তা করার জন্য একটি মশা পাঠান। সেটি তার নাকে প্রবেশ করে। মশার জ্বালা থেকে বাঁচার জন্য তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হতো। তার রাজত্ব ছিল ৪০০ বছর। সে যেমন ৪০০ বছর পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল, তেমনি আল্লাহ তাকে ৪০০ বছর এই আজাবে রাখেন। অতঃপর সে মৃত্যুবরণ করে। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ২/৮৭৮)

আল্লাহ ছাড় দেন তবে ছেড়ে দেন না

জালিমকে অনেক সময় আল্লাহ তৎক্ষণাৎ পাকড়াও করেন না। তখন জালিম মনে করে তাকে ঠেকানোর মতো কেউ নেই। কিন্তু তার সময় ফুরিয়ে গেলে আল্লাহ তাকে ঠিকই গ্রেপ্তার করেন। ‘আমি ধ্বংস করেছি কত জনপদ, যেগুলোর বাসিন্দা ছিল জালিম। এসব জনপদ তাদের ঘরের ছাদসহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল এবং অনেক কূপ পরিত্যক্ত হয়েছিল ও অনেক সুদৃঢ় প্রাসাদও। …এবং আমি কত জনপদকে অবকাশ দিয়েছি যখন তারা ছিল জালিম; অতঃপর তাদের শাস্তি দিয়েছি এবং প্রত্যাবর্তন আমারই কাছে।’ (সুরা হজ : ৪৫-৪৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা জালিমকে অবকাশ দেন, তারপর যখন পাকড়াও করেন তখন আর কোনো ছাড় দেন না। তারপর তিলাওয়াত করেন, ‘যেসব জনপদ জুলুমে লিপ্ত হয়, তোমার প্রতিপালক যখন তাদের পাকড়াও করেন, তখন তাঁর পাকড়াও এমনই হয়ে থাকে। বাস্তবিকই তাঁর পাকড়াও অতি মর্মন্তুদ, বড় কঠিন!’ (মুসলিম : ২৫৮৩)

আখেরাতে জালিমের পরিণতি

‘তুমি কিছুতেই মনে করো না জালিমরা যা কিছু করছে, আল্লাহ সে সম্পর্কে বেখবর। তিনি তো তাদের সেই দিন পর্যন্ত অবকাশ দিচ্ছেন, যে দিন চক্ষুগুলো থাকবে বিস্ফারিত। ভীতবিহ্বল চিত্তে আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা ছোটাছুটি করবে। নিজেদের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে উদাস। …সেদিন তুমি অপরাধীদের দেখবে শৃঙ্খলিত অবস্থায়। তাদের জামা হবে আলকাতরার আর আগুন তাদের মুখমণ্ডল আচ্ছন্ন করবে। …এটা এজন্য যে, আল্লাহ প্রত্যেকের কৃতকর্মের প্রতিফল দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণ করেন।’ (সুরা ইবরাহিম : ৪২-৪৩ ও ৪৯-৫০)

সম্পর্কিত খবর

ইসলাম

শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক: শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার ও ইসলামিকরণে ৪ দফা দাবি

আগস্ট ৪, ২০২৫
আওয়ামী লীগ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্র হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা টিপুর পাশে মুফতি মুস্তাকুন্নবী!

আগস্ট ৩, ২০২৫
আন্তর্জাতিক

উমাইয়া মসজিদ আরব স্থাপত্য ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত, সিরিয়ার প্রথম ইসলামী নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি

আগস্ট ৩, ২০২৫

সপ্তাহের সেরা

  • হেফাজত আমিরের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক: জামায়াত

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে ‘মেজর সাদিক’ একা নন: উঠে আসছে একাধিক রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তার নাম

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • প্রকৌশলীদের চাঁদার টাকায় দলীয় সভা? আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের ২ আগস্টের আলোচনা সভা নিয়ে ক্ষোভ প্রকৌশলীদের

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • গ্রেটার বাংলাদেশ’ মানচিত্রের পেছনে তুর্কি এনজিওর সমর্থন, জড়িত ইসলামপন্থি গোষ্ঠী: জয়শঙ্কর

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করলেন প্রধান উপদেষ্টা, সংবিধানে তফসিলে সন্নিবেশিত হবে

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সর্বশেষ খবর

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৪

আগস্ট ৭, ২০২৫

ভারতের পণ্যে ৫০% রপ্তানি কর আরোপ, ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া বার্তা

আগস্ট ৬, ২০২৫

হেফাজত আমিরের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক: জামায়াত

আগস্ট ৬, ২০২৫
  • হোম
  • গোপনীয়তা নীতি
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • যোগাযোগ
ইমেইল: info@azadirdak.com

স্বত্ব © ২০২৪-২০২৫ আজাদির ডাক | সম্পাদক: মঈনুল ইসলাম খান | ৩, রাজউক এভিনিউ, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • রাজনীতি
    • বিএনপি
    • আওয়ামী লীগ
    • জামায়াত
    • এনসিপি
    • অন্যান্য
  • আন্তর্জাতিক
  • বিশ্লেষণ
  • মতামত
  • ইসলাম
  • খেলা
  • ফিচার
  • ফটো
  • ভিডিও
  • বিবিধ
    • শিক্ষাঙ্গণ

স্বত্ব © ২০২৪-২০২৫ আজাদির ডাক | সম্পাদক: মঈনুল ইসলাম খান | ৩, রাজউক এভিনিউ, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

Exit mobile version