চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি হারুয়ালছড়ি এলাকার মেয়ে উমামা ফাতেমাকে ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বামপন্থি সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের রাজনীতি করলেও তার হাত ধরেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পূর্ণ বাসন প্রথমে পদ পান, যা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সমন্বয়ক দলের ভেতরে “চতুর ও মিথ্যা বলার দক্ষ” হিসেবে পরিচিতি রয়েছে উমামার—এমনটাই অভিযোগ সহকর্মীদের। কয়েক সপ্তাহ আগে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেনের বিষয় সামনে আসলে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠানটির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় দাবি করেন। তবে স্থানীয়দের ভাষ্য, এস আলম পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে তার আত্মীয়তা নেই; বরং তার বাবা এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল ব্যাংকে চাকরি করতেন।
উমামা ইস্পাহানি পাবলিক কলেজে পড়াশোনা করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, কলেজ জীবনে তিনি নিকটবর্তী এমইএস কলেজের ছাত্রলীগের মিছিলে অংশ নিতেন। আন্দোলনের পর তার ভাই বিদেশে, অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছেন বলেও জানা যায়।
যদিও নিজেকে বামপন্থি নেত্রী হিসেবে পরিচয় দেন, উমামার পরিবার চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরিফের ভক্ত হিসেবে পরিচিত। সমালোচকদের মতে, দরবারপন্থি এই পরিবার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগপন্থি রাজনৈতিক আদর্শ অনুসরণ করে এবং জামায়াত-বিএনপিবিরোধী মনোভাব পোষণ করে আসছে।
সূত্রের দাবি, সমন্বয়ক থাকাকালীন সময়ে এস আলম গ্রুপ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নেন উমামা, যা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে বিরোধ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই পদ ছাড়েন। তবে এসব বিষয়ে উমামা ফাতেমার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ঘনিষ্ঠ পরিবারের সন্তান হয়েও উমামার “শিবির-ছাত্রদলমুক্ত ক্যাম্পাস” দাবি তোলা অপ্রত্যাশিত নয়; বরং সমালোচকরা একে “লীগের পেইড এজেন্টের ভূমিকা” বলে অভিহিত করছেন।