পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী লাহোরের মানাওয়ান এলাকায় অনুপ্রবেশকারী একটি ভারতীয় নজরদারি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
শুক্রবার পুলিশ সূত্র জানায়, পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের পরই ড্রোনটির গতিবিধি শনাক্ত করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে নিরাপত্তা বাহিনী। ড্রোনটিতে কোনো বিস্ফোরক না থাকায় এটিকে নজরদারি কাজে ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও টিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ড্রোনটি জিম্মায় নিয়েছে এবং এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে।
ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটল, যখন কয়েক মাস আগে ভারত ও পাকিস্তান মে ২০২৫-এ সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর সূত্রপাত হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভারতীয় অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর এক হামলার পর, যার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করে। ওই ঘটনার পর উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী বৃহৎ আকারের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান চালায়, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন বুনইয়ান-উম-মারসুস’।
এতে একাধিক অঞ্চলে ভারতের নানা সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। পাকিস্তান ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যার মধ্যে তিনটি রাফাল এবং আরও বহু ড্রোন ছিল। অন্তত ৮৭ ঘণ্টা স্থায়ী যুদ্ধের পর গত ১০ মে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। ওয়াশিংটনের উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ফলেই এ চুক্তি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে ভারত ট্রাম্পের এ দাবি অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, এটি তার হস্তক্ষেপ ও বাণিজ্য আলোচনা বন্ধের হুমকির ফল নয়।
অন্যদিকে, পাকিস্তান ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং গত মাসে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে তার ভূমিকার জন্য ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তার নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করেছে।