তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বালিকেসির প্রদেশে রোববার সকাল ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত একজন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন এবং এক ডজনেরও বেশি ভবন ধসে পড়েছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েট প্রেস।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিনদিরজি শহরে। কম্পন রাজধানী ইস্তাম্বুল পর্যন্ত অনুভূত হয়, যা প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) দূরে অবস্থিত এবং ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, সিনদিরজিতে ধসে পড়া এক ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়ার পরপরই এক বৃদ্ধা নারীর মৃত্যু হয়। একই ভবন থেকে আরও চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রদেশজুড়ে মোট ১৬টি ভবন ধসে পড়েছে, যার বেশিরভাগই জরাজীর্ণ ও ব্যবহারহীন ছিল। এছাড়া দুটি মসজিদের মিনার ধসে গেছে। আহতদের মধ্যে কেউ গুরুতর নয় বলেও তিনি জানান।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবনের কোনো চিহ্ন শুনতে নীরবতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, মূল ভূমিকম্পের পর একাধিক আফটারশক হয়েছে, যার মধ্যে একটি ছিল ৪.৬ মাত্রার। কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে প্রবেশ না করার জন্য নাগরিকদের সতর্ক করেছে।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে লিখেছেন, ‘আল্লাহ আমাদের দেশকে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করুন।’
তুরস্ক ভূমিকম্প প্রবণ প্রধান ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থিত। ২০২৩ সালে ৭.৮ মাত্রার এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পে দেশটিতে ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি প্রদেশে লক্ষাধিক ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিবেশী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একই ভূমিকম্পে আরও প্রায় ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।