পিরোজপুরের নেছারাবাদে এক স্কুল শিক্ষকের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় মো.ইমরান খন্দকার নামে ছাত্রদলের এক নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে জেলা দায়রা আদালত। রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে আসামীরা জামিনের জন্য আবেদন করে কোর্টে উপস্থিত হলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এর আগে, গত ১৮ জুন কুহুদাসকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইমরান খন্দকার, শেখ রাহাত হোসেন (রাসেল) ও মো. মিজান খন্দকার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামীরা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ। মামলার বাদী স্কুল শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার শেহাংগল টেম্পু স্ট্যান্ডে দুটি দোকান রয়েছে। আসামিরা ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়াকে ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিত। গত ১৮ এপ্রিল রাতে আসামীরা ওই শিক্ষকের পথরোধ করে পাঁচ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তার জমির গাছ কেটে দখলের চেষ্টা করেন এবং গত শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার পথে তাঁকে আটকে এতিমখানার জন্য রাখা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবুল কালাম আকন বলেন, একটি ব্যক্তিগত বিরোধ নিয়ে এই মামলাটি ছিল। আসামীরা জামিনের জন্য আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের চারজনের মধ্যে তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
মামলার বাদী স্কুল শিক্ষক মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, আসামিরা আওয়ামী লীগের শাসনামলে এলাকায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব করত এবং আমাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিত। তাদের বিরুদ্ধে নেছারাবাদ থানায় চাঁদাবাজি মামলা করেছি। সেই মামলায় আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিল। শনিবার পিরোজপুর নিম্ন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো: মাহমুদ হাসান শাহীন জানান, যতদূর জানি একটা পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে মামলাটি হয়েছে। যদি তাই হয়, এক্ষেত্রে ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠন নিবে না।