বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের পরামর্শে বন্দর ইজারাসহ জাতীয় কৌশলগত সম্পদ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) নেতারা। তারা জানান, কোনো বিদেশির ইশারায় বাংলাদেশের কোনো বন্দর ভিনদেশিদের হাতে তুলে দেব না।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত ৯ দফা দাবি আদায়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে স্কপ নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের নামে বিদেশি কোম্পানির কাছে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা দেওয়ার যে প্রক্রিয়া চলছে, তা দেশের কৌশলগত স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি তৈরি করবে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।
স্কপ নেতাকর্মীদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার জানান, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তন থেকে বাদ পড়েনি শ্রমিকরাও। তাদেরও উন্নয়ন হয়েছে। তবে অনেক কল-কারখানা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ কল-কারখানা সরকারি উদ্যোগে অতিদ্রুত চালু করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে দেশের ভবিষ্যতের জন্য এবং শ্রমজীবী মানুষের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
স্কপ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, অতীতে বিদেশি নিয়ন্ত্রণে গেছে এমন কৌশলগত অবকাঠামোতে দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এখনই জাতীয় সম্পদ রক্ষায় স্বতন্ত্র কমিশন গঠন, কঠোর আইন প্রণয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি।
বক্তব্যে শ্রমিক নেতারা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, দেশের বন্দর ও কৌশলগত সম্পদ নিয়ে বিদেশি স্বার্থে নেওয়া যে কোনো সিদ্ধান্ত প্রতিহত করা হবে।