জাতীয় পার্টিকে ভাঙার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে রংপুর বিভাগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রংপুর সিটির সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
বুধবার বিকেলে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দল ভাঙার ষড়যন্ত্র এবং মব ভায়োলেন্সের প্রতিবাদে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এই ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, আজ থেকে ঘোষণা করছি রংপুর ডিভিশনে এই দালালচক্রকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। যেখানেই তাদের দেখা যাবে, অস্তিত্ব পাওয়া যাবে। সেখানেই বাজ পাখির মতো গিয়ে তাদের তুলে নিয়ে এসে দিগম্বর করে রংপুরের রাজপথে দাড় করিয়ে দেয়ার জন্য নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন।
এর আগে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে পায়রা চত্বর, টাউন হল হয়ে আবারও দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভে তিন নেতার কুশপুত্তালিকা বহন করে তাতে জুতা মারা হয়। এছাড়াও নর্থ ভিউ হোটেলের সামনে জুতা মারতে মারতে কুশ পুত্তলিকায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে উল্লাস করেন নেতাকর্মীরা।
পরে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে সমাবেশে সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির ও আজমল হোসেন লেবু, যুগ্ম মহাসচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাক ও মাহবুবার রহমান।
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে মোস্তফা বলেন,‘ বর্তমান অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি। এই অবনতি যদি থাকে। তাহলে এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিয়ে কীভাবে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব? এটা আমার মাথায় আসে না। আমি বলতে চাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি, পুলিশকে অ্যাকটিভ এবং সাথে সেনাবাহিনী দিয়ে যদি জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করা হয়। তাহলে হয়তো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তাছাড়া নয়।
বৈষম্য বিরোধ আন্দোলনের নিজেদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মোস্তফা বলেন,‘ আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ২২টি মামলা হয়েছে। চারজনকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। ২ জন শহীদ হয়েছে। তারপরেও আমরা আন্দোলন করেও আমাদেরকে ফ্যাসিস্টদের দোসর বলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মতো আমাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে। কখনও বাস্তবায়ন হবে না।’
সকল অবস্থাতেই জিএম কাদেরের পক্ষে রংপুর বিভাগ জাতীয় পার্টি থাকার ঘোষনা দেন তিনি।