ময়মনসিংহের ভালুকায় পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়ার ছুরিকাঘাতে রফিকুল ইসলাম রতন (৪০) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। পুলিশ চুন্নু মিয়াকে (৪২) গ্রেফতার করেছে।
সোমবার (৫ মে) রাতে উপজেলার লবণকোঠা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রফিকুল ইসলাম রতন লবণকোঠা গ্রামের মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
অসামি চুন্নু মিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার টাঙ্গাটিপাড়ার তোতা মিয়ার ছেলে। তিনি ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন সিডস্টোর লবণকোঠা গ্রামের নজরুল ইসলামের বাসা ভাড়া নিয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, রফিকুল ইসলাম রতন বাড়ির পাশেই তাইজুদ্দিনের চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় সবার বুঝে উঠার আগেই পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া চুন্নু মিয়া দৌড়ে এসে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে পিঠে একাধিক আঘাত করে। এতে রতন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা রতনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রতনকে হত্যা করে চুন্নু মিয়া নিজ ভাড়া বাসায় আত্মগোপন করে। পরে খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রতনের সাথে আসামির স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ও পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হতে পারে।
স্থানীয় মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমিও ওই চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলাম। এ সময় চুন্নু মিয়া দৌড়ে এসে কোনো কিছু না বলেই রতনের পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাত করে। আমি বাধা প্রদান করলে আমাকেও ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে, তখন আমার হাতে থাকা কাপের চা খুনি মুখে ছুড়ে মেরে নিজেকে আত্মরক্ষা করি। পরে দৌড়ে তার বাসায় গিয়ে আত্মগোপন করে।’
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুল হুদা খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ তদন্তপূর্বক আসামিকে জিজ্ঞেসাবাদ শেষে বলা যাবে।