ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে প্রার্থী ফাতিমা তাসনীম জুমা বলেছেন,
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীই পর্দা করে না, লিবারেল জীবনধারা অনুসরণ করে। তাদের জন্যও একটি ‘সেইফ স্পেস’ দরকার। আমি সেই লিবারেল শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, আবার একই সঙ্গে আমি ছাত্রশিবিরেরও প্রতিনিধি।”
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “আমি শিবির বা কোনো ছাত্রী সংগঠনের সঙ্গে আগে যুক্ত ছিলাম না। আমি সম্পূর্ণ লিবারেল মানসিকতার একজন শিক্ষার্থী। তবে আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়েছে—শিবির কেবল বোরকা বা পর্দা করা শিক্ষার্থীদের জন্য প্যানেল দেয়নি। তাই আমি ভেবেছি, তাদের সঙ্গে জোট করলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি। আমাকে বিভিন্ন পক্ষ থেকেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শিবির আমাকে আমার কাঙ্ক্ষিত পদে নিতে রাজি হয়, তাই আমি তাদের সঙ্গে জোটে এসেছি।”
জুমা জানান, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, কেউ চাইলে তাকে তাদের প্যানেলে নিতে পারে। পরে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে বিবেচনা করে শিবিরের প্যানেলকেই তিনি নিজের জন্য উপযুক্ত মনে করেছেন।
সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “শিবির কেবল বোরকা বা পর্দা করা শিক্ষার্থীদের জন্য প্যানেল দেয়নি। কিন্তু অনেকেই সেভাবে না দেখে আমাকে নানা রকম ফ্রেমিং করার চেষ্টা করছে। আমি এতে বিচলিত নই, কারণ কোনো অপরাধ করিনি। যদি কেউ আমার অন্যায় প্রমাণ করতে পারে, তখনই কথা বলুক।”