যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে সাতজন হিন্দু শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রতিযোগিতার অংশ ছিল পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত, ইসলামি সংগীত, ইসলামিক কুইজ এবং রচনা। এসবের বিচারক হিসেবে হিন্দু শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করা হলে বিষয়টি আলোচনায় আসে। বিদ্যালয়টিতে এর আগে কোনো ইসলামি অনুষ্ঠানে হিন্দু শিক্ষককে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার নজির নেই বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় দিবা ও প্রভাতী দুই শিফটে আলাদা বিচারকমণ্ডলী করা হয়। প্রভাতি শিফটে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য বিচারক ছিলেন যথাক্রমে পলাশ কুমার রায়, রাজু বিশ্বাস ও শ্রাবণী পাল। দিবা শিফটে তৃতীয়, ষষ্ঠ, অষ্টম ও দশম শ্রেণির জন্য বিচারকের দায়িত্ব পান অনিতা রানী দাশ, নন্দকুমার অধিকারী, অমিতা গুপ্ত ও মৃণালিনী ভদ্র। বিদ্যালয়ের মোট ৫১ জন শিক্ষকের মধ্যে যে সাতজন হিন্দু, তারাই সবাই বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যশোরে মুসলিম শিক্ষকের অভাব নেই। ইসলামিক বিষয়ে জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও হিন্দু শিক্ষকদের বিচারক করা দুঃখজনক।”
একজন শিক্ষক জানান, নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একক সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মতামত না নেওয়ার কারণেই এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিযোগিতার মূল দায়িত্ব মুসলিম শিক্ষকেরাই পালন করেছেন। হিন্দু শিক্ষকদের শুধু কুইজের উত্তর মিলিয়ে দেখার মতো কাজ দেওয়া হয়েছিল। সবাইকে কাজে লাগানোর জন্যই তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”