বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেছেন, অকুতোভয় সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মতো সাহসী সাংবাদিক আজকের সমাজে খুবই বিরল। তিনি কখনো অসত্য ও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি, বরং মৃত্যু-ভয়কে উপেক্ষা করে নির্ভীকভাবে এগিয়ে গেছেন। নির্যাতিত ও অপমানিত হলেও তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। সাংবাদিকতার পেশায় তাঁর মতো দৃঢ়তা, নৈতিকতা, অনমনীয়তা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (ক্র্যাব) নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্র্যাব কার্যালয়ে ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন, পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলমসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্।
অধ্যাপক গোলাম পরোয়ার আরও বলেন, কোনো দেশের সভ্যতার মান নির্ভর করে সেই দেশের সাংবাদিকতার অবস্থার ওপর। সমাজের সুস্থতা বা অসুস্থতার প্রতিফলন দেখা যায় অপরাধ প্রবণতায়, আর সেখানেই ক্রাইম রিপোর্টিং বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আজকের সমাজে সবচেয়ে বড় অভাব হলো সাহসী সাংবাদিকতা। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পারাটাই সাংবাদিকতার মূল শক্তি। এ ক্ষেত্রেই মাহমুদুর রহমান সাহসী সাংবাদিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি সাংবাদিকদের জাতির বিবেক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বিবেকের দায়বদ্ধতা নিয়েই সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। কোনো অপরাধ বা অনিয়ম ইচ্ছাকৃতভাবে আড়াল করা কিংবা অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা নতুন বাংলাদেশে বিবেকের সাংবাদিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতৃবৃন্দ ক্র্যাবকে শুভেচ্ছা জানান এবং সাংবাদিকদের ন্যায়ভিত্তিক ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর আগে ক্র্যাব চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে সেগুনবাগিচার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।