ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে তুমুল নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থীরা একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, অভিযোগ তুলছেন এবং নানা বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন। নারী শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, ভোটাধিকার নিয়ে বিতর্ক, এমনকি প্রার্থিতা বাতিলের মতো ইস্যুতেও উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
শনিবার অমর একুশে হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান মতবিনিময় সভায় বলেন, “আমরা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও যোগ্যতাভিত্তিক রাজনীতি চাই। প্রতিযোগিতা হবে, তবে সেটি হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে।” তিনি নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি বিদ্যমান নীতিমালাকে ‘ডাইনোসর যুগের আইন’ আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেন এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আহ্বান জানান।
অন্যদিকে ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বীরা মেধা ও কাজের প্রতিযোগিতায় না পেরে প্রোপাগান্ডা ও সাইবার বুলিংয়ের আশ্রয় নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির করুণ অবস্থার সমালোচনা করে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচিত হলে লাইব্রেরি ও গবেষণা খাতে আধুনিক সুবিধা চালু করবেন।
ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে বলেন, শুধু হল আইডি কার্ড দিয়ে ভোট নির্ধারণ করা যাবে না; তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের আইডি বা পে-ইন স্লিপ থাকলেই ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে শেষ মুহূর্তে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাগছাসের প্যানেলভুক্ত মো. হাসিবুল ইসলাম। অন্যদিকে বিতর্কিত পোস্টের জেরে ছাত্রশিবির তাদের এক প্রার্থীকে সরিয়ে দিয়েছে।
সব মিলিয়ে প্রতিশ্রুতি, অভিযোগ, বিতর্ক ও পাল্টা অভিযোগে ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনায় সরগরম হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।