বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার সাবেক নেত্রী ফারহানা মিতু ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বরের এক ঘটনার স্মৃতি তুলে ধরে তৌহিদ আফ্রিদির স্ত্রীকে নিয়ে সাম্প্রতিক সহানুভূতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সেদিন ঢাকার গ্রীনভ্যালি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সংগঠনের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২১ জন নারী সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের মধ্যে একজন, হাবীবা নাসরিন কান্তা, ছিলেন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মিতুর ভাষ্যে, গ্রেফতারের সময় নির্দোষ জানা সত্ত্বেও পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা তাদের মিথ্যা অভিযুক্ত করে। মহিলা পুলিশ না থাকায় দরজা খোলার জন্য তারা মিসেস আব্দুল কাদের মোল্লার স্ত্রীকে সহযোগিতার আহ্বান জানায়। কিন্তু গ্রেফতারের পর কান্তাকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়— আদালতের ৮ তলায় হেঁটে উঠতে বাধ্য করা হয়, নোংরা আমদানি রুমে সপ্তাহব্যাপী রাখা হয়, খাবার ও বৈধ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়, স্বজনদের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
এই অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে তৌহিদ আফ্রিদির স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতি জানালেও মিতু বলেন,
“যে শাসক আলেমদের রক্তে হাত রঞ্জিত করেছে, অন্তঃসত্ত্বা মেয়েদের নির্যাতন করেছে, তার পক্ষে থাকা গডফাদারদের জন্য কোনো সমবেদনা নেই। কর্মফল মানুষকে ভোগ করতেই হয়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তৌহিদ আফ্রিদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে এবং অন্যায়ের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছে।
মিতুর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।