ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে গত রোববারের শুনানিতে হাতাহাতির ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) শেরে বাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। তবে জিডিতে কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও উপসচিব শহীদ আবদুস সালাম গতকাল সোমবার জিডিতে স্বাক্ষর করেন। তিনি জানান, এটি কারো আবেদনের ভিত্তিতে নয়; নিরাপত্তাজনিত কারণ ও ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কমিশনের স্বউদ্যোগে করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, শুনানির সময় সংরক্ষিত আসনের বিএনপির সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ছিলেন পক্ষে, আর বিপক্ষে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা আতাউল্লাহ। সিইসির উপস্থিতিতেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, যা ইসিকে বিব্রত করে।
গত ২৪ আগস্ট সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত দাবি-আপত্তির শুনানিতে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং শুনানি শেষ করেন।
ঘটনার পর সাংবাদিকদের রুমিন ফারহানা বলেন, “আমার বিপক্ষে যারা এসেছিল তারা গুন্ডা-পান্ডা নিয়ে এসেছে। চাইলে আমিও আনতে পারতাম, কিন্তু আনিনি। আমাকে ধাক্কা দেওয়া হলে আমার লোকজন নিশ্চুপ বসে থাকতে পারে না।” নিজের দলের নেতাকর্মীদের ধাক্কায় আহত হওয়ার বিষয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, এনসিপি অভিযোগ করেছে যে, রুমিন ফারহানার নেতৃত্বে তাদের কেন্দ্রীয় নেতা আতাউল্লাহকে মারধর করা হয়েছে।