গাজায় হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড গতরাতে এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে অন্তত ৪ জন ইসরায়েলি সেনাকে অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এ অভিযানে আরও বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছে। ঘটনাটিকে ইসরায়েলি মিডিয়া ৭ই অক্টোবরের পর অন্যতম বড় হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

অভিযানের পরপরই কাসসাম ব্রিগেড ৭ই অক্টোবরের ছবি ব্যবহার করে বার্তা প্রকাশ করে:
“যারা ভুলে যায় আমরা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিই — মৃত্যু অথবা বন্দিত্ব!”
এদিকে, ইসরায়েলি সেনারা এই অপহরণ ঠেকাতে চালু করে “হানিবাল প্রটোকল”। এ প্রটোকল অনুযায়ী, নিজেদের সেনারা শত্রুর হাতে বন্দি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে প্রতিপক্ষের পাশাপাশি নিজেদের সেনাদের দিকেও নির্বিচারে গুলি চালানো হয়, প্রয়োজনে হত্যা পর্যন্ত করা হয়—শুধু অপহরণ ঠেকানোর জন্য। ফলে গতরাতের অভিযানে বহু সেনা হতাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইসরায়েল সরকার বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া সেন্সরশিপ আরোপ করেছে এবং নতুন সরকারি বিবৃতি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সৈন্য অপহরণের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছে।
ঘটনার মাত্র পাঁচ ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “৭ই অক্টোবরের কথা মনে রাখবেন।” তার এই বক্তব্যের পরপরই কাসসাম ব্রিগেডের এই হামলা যেন এক প্রকার সরাসরি জবাব হয়ে দাঁড়ায়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য ভয়াবহ মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করবে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করবে।