প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা এসএএইচআর-এর একটি প্রতিনিধিদল। শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতে ড. ইউনূস বলেন, একসময় যারা হতাশায় ছিলেন, তারাই আজ গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের নেতৃত্বে এগিয়ে আসছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, আলোচনায় বাংলাদেশসহ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত মতবিনিময় হয়। দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে যুবসমাজের ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুবকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। সংস্কার কমিশন থেকে শুরু করে নীতি প্রণয়ন ও রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিটি স্তরে তরুণদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। প্রবীণ প্রজন্মের দায়িত্ব হলো তাদের পথপ্রদর্শন ও সহায়তা করা—এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন এসএএইচআর-এর সহ-সভাপতি রশ্মি গোস্বামী, পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী সারুপ ইজাজ, শ্রীলঙ্কার দীকশ্য ইলাঙ্গাসিংহে ও অনুশায়া কল্লুরে এবং বাংলাদেশের সাঈদ আহমেদ। বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদও উপস্থিত ছিলেন।
রশ্মি গোস্বামী বলেন, “এ মুহূর্ত শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই এক রূপান্তরমূলক সময়। আমরা এখানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই সরকারের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনেক বেশি। সেই প্রত্যাশা পূরণ করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।”
প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ ও মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে। একই সঙ্গে তারা গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে মসৃণ ও টেকসই করতে সরকারের প্রচেষ্টারও প্রশংসা জানান।