জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তারা বাংলাদেশে রাজনীতির কথা বলছে এটাই তো সবচেয়ে অবাক করা! যে লোক শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচনের আগে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘তাদের (ভারতের) অনুমতি ছাড়া কিছু বলা যাবে না’- সেই লোক বাংলাদেশে রাজনীতি করে কী করে, কথা বলে কী করে? তারা তো দেশকে বিশ্বাস করে না এবং এরা নির্বাচন করবে কী, করবে না, কী কথা তাদের হয়েছে, সেটা ভারতের অনুমতি ছাড়াও বলতে রাজি নয়। এরা আবার গভীর পানির ভিতর থেকে মাথা তুলে উঁকি দিচ্ছে এবং নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উস্কানি দিচ্ছে কি না; এটা নিয়ে জনগণ তো সন্দেহ করছে।
আজ রোববার গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ঢাকা মেডিক্যালে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘নুরুল হক নুরের ওপরে আক্রমণটা আমার কাছে মনে হয়েছে পূর্ব পরিকল্পিত, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে টার্গেট করা হয়েছে আঘাত করার জন্য এবং উদ্দেশ্য ছিল একেবারে মেরে ফেলার। নুর ছিল ফ্যাসিবাদী সরকারের শিকার। তাকে আঘাত করতেই হবে, তাকে মারতেই হবে এবং উদ্দেশ্য আরো খারাপ ছিল যে তাকে মেরে ফেলতে হবে।’
তিনি বলেন, পরশুদিনের যে ঘটনা নুর প্রতিবাদ জানাচ্ছিল, সেখানে কোনো সন্ত্রাসী-সহিংস কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি, কিন্তু তার উপরে এই যে আঘাতটা হয়েছে নির্মম। সেটা যারাই করুক তারা একটা বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ বলে আমি মনে করি।
রিজভী বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গভীর চক্রান্তের অংশ এবং ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তিরাই আজকে নানাভাবে নানা কায়দায় তারা তাদের বিষ দাঁত বসানোর চেষ্টা করছে।
জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের একটা দাবি উঠেছে আপনার অভিমত কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত এ ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নিবে। এবং ফাসিস্টের দোসররা কখনোই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল হতে দেবে না। কারণ তাদের হাতে অনেক টাকা আছে। এখনো সেখানে টাকা যাচ্ছে এবং যে টাকাগুলো পাচার হয়েছে সেটাও তো শেখ হাসিনার হাতে গিয়ে দিয়ে আসা হচ্ছে। আড়াই হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে, আবার দুই হাজার কোটি টাকা দেয়া হবে। তাহলে তারা তো বসে নেই। চক্রান্তের নানা জাল রচনা করছে। যাই হোক, যারাই জড়িত হোক তাদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি দিতে হবে।
নুরের সুস্থতা কামনা করে রিজভী বলেন, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানো হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।