বাংলাদেশের জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতার ওপর চালানো নৃশংস হ ত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অন্তত ৭২ জন সেনা কর্মকর্তার নাম উঠে আসে। তাদের মধ্যে ২২ জনকে সবচেয়ে বেশি “ম্যাস কিলার” ও দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইন্টারিম সরকারের অধীনে গঠিত গুম–খুন কমিশন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ইতোমধ্যেই এ ২২ জনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণসহ এরেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করেছে। তবে এদের অধিকাংশই এখনো সেনাবাহিনীতে প্রভাবশালী পদে কর্মরত, যাদের অনেকেই বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের ঘনিষ্ঠ।
সূত্র জানায়, এই পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অভিযুক্ত অফিসারদের বিচারের মুখোমুখি না করার জন্য আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হতে পারে।
তবে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট—
গণহত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অফিসারদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ক্যু’র ভয় নেই, কারণ সেনাবাহিনীর অধিকাংশ অফিসার–সৈনিক জনগণের পক্ষে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বৈঠক আসলে বিচারের প্রক্রিয়া ঠেকানোর শেষ চেষ্টা। কিন্তু জুলাই–আগস্টে যারা শহীদের রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের বিচার কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না।