নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজধানীর অভিজাত ক্লাব ও শপিং সেন্টারে নিয়মিত গোপন বৈঠক করছে। বৈঠকে দলের নেতা-কর্মীরা স্থানীয় সংগঠন, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন। সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা ও কিছু বিদেশি নাগরিকও বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।
গত মাসে মালিবাগ, উত্তরার এবং ধানমন্ডি এলাকায় বিভিন্ন বৈঠক এবং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব কর্মকাণ্ড নজরদারি করছে। ধানমন্ডিতে একটি মিছিলে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যার জন্য একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের গতিবিধি মনিটরিং করা হচ্ছে। কয়েকটি বৈঠক ও মিছিলে সহায়তা করা হয় বিদেশি নাগরিক এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে। এছাড়া ভারতে থাকা সংস্থাপ্রাপ্ত ডলার ও অর্থ পাচারের বিষয়েও নজরদারি শুরু হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হবে এবং ধাপে ধাপে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার করা হবে।