বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে দশম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক (5G) সেবা চালু করল দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। গত ১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে এই সেবার যাত্রা শুরু করে।
প্রাথমিক কভারেজ
প্রাথমিকভাবে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের সদর দপ্তরে নির্দিষ্ট এলাকাগুলোতে 5G চালু করা হয়েছে—ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটের সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে গ্রাহকরা নতুন এই সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
গতি ও অভিজ্ঞতা
- 5G প্রযুক্তি 4G এর তুলনায় ১০–১৫ গুণ বেশি দ্রুত ইন্টারনেট নিশ্চিত করে।
- পরীক্ষামূলকভাবে ৫৫১ Mbps পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড রেকর্ড করা হয়েছে।
- সাধারণভাবে গড়ে ৭০–৮০ Mbps গতি পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কোনো অতিরিক্ত চার্জ নেই
গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক হলো—এই নতুন 5G সেবার জন্য কোনো অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে না। বর্তমানে ব্যবহৃত 4G ডেটা প্যাকেজ দিয়েই গ্রাহকরা 5G ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় ডিভাইস ও সিম তথ্য
5G ব্যবহারের জন্য অবশ্যই গ্রাহকের হাতে GP-certified 5G সমর্থিত মোবাইল হ্যান্ডসেট থাকতে হবে। নিচে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসগুলোর একটি নির্বাচিত তালিকা দেওয়া হলো:
GP‑Certified 5G হ্যান্ডসেটের প্রধান কিছু মডেল:
- iPhone: 12 এবং এর পরবর্তী মডেলসমূহ
- HONOR: Magic 6 Pro, Magic V2, Magic V3, Magic V5, 90, 90 Lite, 200 Pro, 200, 400 Pro, 400, 400 Lite, X9a, X9b, X9c
- realme: 8 5G, GT Master Edition, GT Neo 2, 9 Pro 5G, 9 Pro+ 5G, 14 5G, 14T 5G
- OnePlus: Nord 4, 12R, Reno12F 5G, Nord N30 SE 5G
- OPPO: Reno 14F, Nord 5, Reno 14, Nord CE5, Nord 3 5G, Nord CE 3 Lite 5G, Reno 12 5G, Reno 13, Nord CE4 Lite 5G, F21 Pro 5G
- Vivo: V50, V40, V30, V29, V29e 5G, V27, V25, V23 5G, X200, X80, X70 Pro, X60 Pro
SIM কার্ড: 5G ব্যবহারের জন্য আপনাকে নতুন সিম পরিবর্তন করতে হবে না—বর্তমান 4G SIM দিয়েই চালু থাকবে।
নেটওয়ার্ক ফ্যালব্যাক: 5G কভারেজ এলাকার বাইরে গেলে ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে 4G বা 2G নেটে রূপান্তরিত হবে।
ভয়েস কল: ভয়েস কল এখনও 4G/2G বা VoLTE এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে; 5G সরাসরি ভয়েস কলকে প্রভাবিত করছে না।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
গ্রামীণফোন জানিয়েছে, বর্তমানে সীমিত এই 5G কভারেজ ধাপে ধাপে বিস্তৃত হবে—অন্য এলাকায় এবং আরও গ্রাহকের কাছে এই সেবা পৌঁছানোর কাজ অব্যাহত থাকবে।