ভারতের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২১টি বিমানবন্দর আগামী ১০ মে ভোর ৫টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু পত্রিকার হাতে আসা একটি নোটিশ টু এয়ারম্যান -এ জানানো হয়েছে, এই বিমানবন্দরগুলো ১০ মে সকাল পর্যন্ত সাময়িকভাবে ফ্লাইট চলাচলের বাইরে থাকবে।
এই তালিকায় জম্মু-কাশ্মীর ও লেহ-এর পাশাপাশি পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাট রাজ্যের একাধিক বিমানবন্দর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে ভারতের অভ্যন্তরীণ রুটে বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির এয়ারলাইন্সগুলো।
এনওটিএএম অনুযায়ী, জম্মু ও শ্রীনগর (জম্মু-কাশ্মীর), লেহ; অমৃতসর, চণ্ডীগড়, পাতিয়ালা, হালওয়ারা (পাঞ্জাব); শিমলা ও ধরমশালা (হিমাচল প্রদেশ); যোধপুর, বিকানের, জয়সলমের, কিশনগড় (রাজস্থান); এবং ভূজ, জামনগর, রাজকোট, মুন্দ্রা, পোরবন্দর, কান্ডলা, কেশোদ (গুজরাট) বিমানবন্দরগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়াও গোয়ালিয়র ও হিন্দন বিমানবন্দরেও ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স।
উল্লেখ্য, এই বিমানবন্দরগুলোর অনেকগুলোই ভারতীয় বিমানবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবহার করে বেসামরিক বিমান সংস্থাগুলো।
ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ১০ মে সকাল ৫টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত ১১টি বিমানবন্দরের ১৬৫টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এয়ার ইন্ডিয়াও ৯টি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বন্ধ করেছে অমৃতসর, গোয়ালিয়র, জম্মু, শ্রীনগর এবং হিন্দনের ফ্লাইট।
স্পাইসজেট বাতিল করেছে লেহ, শ্রীনগর, জম্মু, ধরমশালা, কান্ডলা ও অমৃতসরের ফ্লাইট। আকাসা এয়ার জানিয়েছে, তারা ৯ মে পর্যন্ত শ্রীনগরের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
বিমান হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানে প্রায় সাড়ে ৫০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
পাকিস্তানে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের ১৬ শতাংশ ও ভারতের প্রায় ৩ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে ফ্লাইট ট্র্যাকিং সার্ভিস ফ্লাইটরাডার২৪ জানিয়েছে। তবে পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (পিএএ) জানিয়েছে, দেশের সব বিমানবন্দর পুরোপুরি সচল রয়েছে এবং দেশের আকাশসীমা উন্মুক্ত ও বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য নিরাপদ রয়েছে। পাশাপাশি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের বেপরোয়া ও উসকানিমূলক পদক্ষেপের কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল নিরাপত্তায় গুরুতর ঝুঁকির বিষয়টি পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থাকে (আইসিএও) জানিয়েছে।
দ্য হিন্দু