রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে ছাত্রদলের পাঁচ নেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এক সমন্বয়ক বিশেষ বিবেচনায় দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তির আবেদন করেছেন। তবে তাদের কারোরই বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, রাকসু নির্বাচন বানচালের নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
গত বুধবার উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার হাসান এবং সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না। আবেদনকারীরা দাবি করেন, রাজনৈতিক হয়রানি ও কারাবরণের কারণে পূর্বের মাস্টার্স সম্পন্ন করতে পারেননি তারা।
জানা গেছে, শফিক ও তুষার ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে এবং রাহী, জহুরুল ও সোহাগ ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির আবেদন করেছেন। তবে মুন্নার আবেদনকৃত বিভাগ জানা যায়নি।
রাবিতে এক সময় দ্বিতীয়বার মাস্টার্স করার সুযোগ থাকলেও তা পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, নির্বাচনের ঠিক আগে এসব আবেদন রাকসুকে পিছিয়ে দেওয়ার কৌশল। অন্যদিকে কয়েকজন শিক্ষক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ছাত্রদলের চার নেতার আবেদন পেয়েছেন তিনি। কোনো রাজনৈতিক দলের সুপারিশ নয়, বিষয়টি একাডেমিকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।