বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম প্রধান শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন বাংলাদেশ গঠনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদেরকে একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে হবে।
শনিবার সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ঢাকায় অবস্থানরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমনা সাবেক শিক্ষার্থীদের (চবিয়ান) উদ্যোগে আয়োজিত ‘চবিয়ান মিলন মেলায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সাবেক চাকসু ভিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, জামায়াতের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যাপক নুরুল আমীন, সাবেক চাকসু এজিএস মহিউদ্দিন ফারুক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, বায়োফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লকিয়ত উল্যা, নয়াদিগন্তের নির্বাহী পরিচালক মাসুমুর রহমান খলিলী, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী এবং সাবেক সভাপতি ও সেক্রেটারিরা।
প্রধান বক্তা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের আবেগ ও ভালোবাসার কেন্দ্র। সাবেক ছাত্রদের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় অবদান রাখা।”
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “অनेक ঐতিহ্য ও গৌরবের স্মৃতিতে ভরপুর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অহংকার। প্রাচ্যের রাণী হিসেবে খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে ছড়িয়ে আছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ভবিষ্যতেও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং বর্তমান ছাত্রদের সাফল্যে অবদান রাখবে।”
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, “সাবেক চবিয়ানদের এই আয়োজন আমাদের আবেগে আপ্লুত করেছে। এটি আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সহায়তা করবে।”