জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপ শাখার মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদ পতনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেসব গোষ্ঠী কাজ করেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জামায়াত। তিনি বলেন, “দুটোই মূল স্টেকহোল্ডার। ড. ইউনূস যেসব কাজ করেছেন, সেখানে আমি চুক্তির শর্তাবলি দেখেছি। বিদেশের লবিং ফার্মগুলো সাধারণত অনেক অর্থ দাবি করে এবং রিটেইনার এগ্রিমেন্টের ভিত্তিতে কাজ করে। তবে বিষয়টি এমন ছিল না যে, তিনি বাংলাদেশে প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার লোভে চুক্তি করেছিলেন।”
সম্প্রতি ‘ফেস দ্য পিপল’ আয়োজিত এক টকশোতে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাইফুর সাগরের সঞ্চালনায় ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) বীর প্রতীক হাসিনুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ড. ইউনূসের ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার আগেই তাঁর কার্যক্রম সম্পর্কে আমি জানতাম। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেই নয়, তিনি একটি লবিং ফার্ম ভাড়া করেছিলেন, যাদের সঙ্গে আমরাও কাজ করেছি। ওই ফার্মের মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অর্থ ব্যয় করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় সংকটময় সময়ে ছাত্র-জনতা জাতির প্রয়োজনে ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় এনেছে। আমি যতটুকু বুঝেছি, তিনি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কোনো পরিকল্পনা নিয়ে আসেননি। তাঁর লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদের অবসানের পর স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন, সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া এবং বিচারকার্য শুরু করে সরে দাঁড়ানো।”
ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা শেষ করেন এভাবে—“ড. ইউনূস ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার স্বপ্ন দেখেননি। কিছু রাজনৈতিক মহল যেভাবে দাবি করছে যে তিনি পাঁচ-দশ বছর ক্ষমতায় থাকতে চান, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”