রাজধানীতে সাম্প্রতিক ঝটিকা মিছিল ও অনুমতি ছাড়া দলীয় সমাবেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন তৎপরতার পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা।
রবিবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রেস সচিব বলেন, ‘গত কয়েকদিনে আমরা কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দেখেছি। বিশেষ করে অনুমতি ছাড়া সমাবেশ, হঠাৎ মিছিল ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ ধরনের কার্যক্রম মনিটরিং জোরদার করতে হবে। আর যারা নেপথ্যে সক্রিয় রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের মিছিল এবং দলীয় কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করেই মূলত এই আলোচনা ও সিদ্ধান্ত।

প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় সব উপদেষ্টা। বৈঠকে ছিলেন আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং সামরিক-বেসামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৈঠকে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়। স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বলা হয়েছে—স্থানীয় প্রশাসন যেন এমন কার্যক্রমের আগাম তথ্য সংগ্রহ করে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়। কারণ, এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।’
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছেন। তবে সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের রাজনৈতিক মিছিল, জমায়েত ও সমাবেশের ওপর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের অভ্যন্তরে অবস্থান স্পষ্ট করতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।