ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবু তাহের (৫০) নামের এক কাজীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আবু তাহের একই সঙ্গে ফুলবাড়িয়ার রাধাকানাই ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার ও ইউনিয়ন ওলামা লীগের সভাপতি।
শনিবার রাতের একটি অভিযান চালিয়ে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ তাকে উপজেলার ছনকান্দা মিলনবাজার এলাকা থেকে আটক করে।
ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ময়মনসিংহ সদর এলাকার এক ২৩ বছর বয়সী নারীর সাথে উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামের গোলাম রব্বানীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গোলাম রব্বানী ওই নারীকে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার সময় নিকাহ রেজিস্ট্রার আবু তাহেরের মাধ্যমে একটি ভুয়া কাবিননামায় সাজানো বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মাঝে মাঝে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। এর মধ্যে ওই নারী গর্ভবতী হলে তাকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করানো হয়।
কয়েক মাস পর দুজনের সম্পর্কের অবনতি হলে ওই নারী নিকাহ রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে কাবিননামার নকল তুলতে গিয়ে জানতে পারেন যে তাদের বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই। এ ঘটনার পর ওই নারী ময়মনসিংহ আদালতে গোলাম রব্বানী, নিকাহ রেজিস্ট্রার আবু তাহেরসহ মোট ৬ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১৮, ২০২৫)।
ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান জানান, আবু তাহেরের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর শনিবার রাতের অভিযানে তাকে ছনকান্দা মিলনবাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।