গুগল নতুন প্রযুক্তি আনলেই নামকরণে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করে। তাদের প্রথম বড় ভাষা মডেলের নাম ছিল বার্ড, পরে বদলে হলো জেমিনি। সার্চে এআই যোগ করা হয়েছিল সার্চ জেনারেটিভ এক্সপেরিয়েন্স (এসজিই) নামে। এবার নতুন এআই ইমেজ মডেলের নাম দিয়েছে ‘ন্যানো বানানা’। নামটি অদ্ভুত শোনালেও এর কার্যক্ষমতা বেশ চমকপ্রদ।
ন্যানো বানানার বিশেষত্ব
অন্য এআই যেখানে নতুন ছবি তৈরি করতে দক্ষ, সেখানে ন্যানো বানানা পারদর্শী বিদ্যমান ছবি এডিট ও রূপান্তরে। উদাহরণ হিসেবে—
সাদা কুকুরের লোমকে রঙিন পশমে রূপান্তর করেছে, যেন সত্যিই রঙ করা হয়েছে।
নির্মাণাধীন রেস্তোরাঁর ছবিকে সাজানো-গোছানো প্রস্তুত রূপে দেখিয়েছে।
পুরোনো সাদা-কালো ছবিকে রঙিন ও পরিষ্কার করেছে, এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করেছে।
একটি পারিবারিক ছবিকে রঙিন করার পর ব্যবহারকারী ছবির আসল স্থান চিনে ফেলেছেন।
এই সব কাজ এতটাই বাস্তবসম্মত যে প্রথম দেখায় বোঝা মুশকিল হয়ে যায় ছবিটি আসল নাকি এআই সম্পাদিত।
কারা ব্যবহার করতে পারবেন?
ডিজাইনার ও স্থপতিরা ভবিষ্যৎ প্রজেক্ট ক্লায়েন্টকে সহজেই দেখাতে পারবেন।
গ্রাফিকস ডিজাইনার ও ফ্রিল্যান্সাররা অল্প সময়ে ক্লায়েন্টের জন্য কাজ তৈরি করতে পারবেন।
সাংবাদিক ও গবেষকরা পুরোনো নথি ও ছবি নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।
সাধারণ ব্যবহারকারীরা শখের বসে ছবি রঙিন বা সাজাতে পারবেন।
ব্যবহার করার নিয়ম
ন্যানো বানানা পাওয়া যাচ্ছে Gemini 2.5 Flash-এ। ব্যবহার করতে চাইলে—
gemini.google.com-এ প্রবেশ করুন।
মডেল হিসেবে Gemini 2.5 Flash নির্বাচন করুন।
ছবি আপলোড করুন।
কীভাবে এডিট চান, তা লিখে দিন।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ছবিটি নতুন রূপে সাজানো হবে।
নিরাপত্তাব্যবস্থা
ভুয়া তথ্য তৈরি ঠেকাতে গুগল প্রতিটি ছবিতে অদৃশ্য ও দৃশ্যমান ওয়াটারমার্ক যুক্ত করছে। এর ফলে সহজেই বোঝা যাবে ছবিটি এআই তৈরি নাকি আসল।
শেষ কথা
অদ্ভুত নাম হলেও ন্যানো বানানা এক অসাধারণ প্রযুক্তি। এটি শুধু ছবি সুন্দর করে না, বরং পুরোনো স্মৃতিকে নতুন করে জীবন্ত করে তোলে। ভবিষ্যতে এটি গ্রাফিকস ডিজাইনার, ফ্রিল্যান্সার, স্থপতি থেকে শুরু করে সাধারণ ব্যবহারকারী—সবার জন্যই এক অনন্য টুল হয়ে উঠতে পারে।