ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলাকালে কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ দুইটি ব্যালট পেপার দেয়ার ঘটনায় পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমান চৌধুরীকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলাকালে কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুইটি ব্যালট পেপার দেয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি যে অনিচ্ছাকৃত ভুল তা অভিযোগকারী ভোটারও বুঝতে পারেন। তারপরও ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বদ্ধপরিকর।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কার্জন হলের দোতলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে এক শিক্ষার্থীকে আগেই পূরণ করা ব্যালট দিয়েছেন পোলিং অফিসার।
কেন্দ্রে উপস্থিত সীমা আক্তারের পোলিং এজেন্ট রাজিমুল ইসলাম ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পোলিং এজেন্ট জানান, শুরুতে একজন ভোটারকে ব্যালটের একটি পেপারের দুটি কপি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই প্রার্থী দুটিই পূরণ করে ফেলে এবং একটি ব্যালট বাক্স জমা দেয়। একটি টেবিলে জমা দেন।
পরবর্তীতে আরেক ভোটার এলে পূর্বে পূরণকৃত ও ফেরত দেওয়া ব্যালট পেপার তাকে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেটি পূরণ করা থাকায় ফেরত দেয়। বিষয়টি ‘নাইসলি হ্যান্ডেল’ করা হয়েছে বলে জানান অভিযোগকারীরা।
অভিযোগকারীদের নির্দেশিত টেবিলের পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমান চৌধুরী বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনিচ্ছাকৃত হয়ে গেছে আরকি’।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৮টি কেন্দ্রে চলবে ভোটগ্রহণ। ডাকসুর জন্য পাঁচ পাতার ব্যালট ও হল সংসদের জন্য থাকবে এক পাতার ব্যালট। সব মিলিয়ে একজন ভোটারকে ভোট গুনতে হবে ছয় পাতার ব্যালটে। এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন।
১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হবে।