ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মঙ্গলবার ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের প্রায় দেড় ঘণ্টা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হলেও সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মিডিয়া কর্মী ও পর্যবেক্ষকরা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে পারেননি, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম (শহীদুল জহির) এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত আমার কাছে কেউ আসেনি। আমি কীভাবে বুঝব তারা প্রবেশ করতে পারছে কি-না?” তবে উপস্থিত সাংবাদিকরা দাবি করেছেন, নারীরা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছিল।
ছাত্রশিবির ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন উভয় প্যানেলের প্রার্থীরাও এ সীমাবদ্ধতার অভিযোগ করেছেন, যা ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়িয়েছে। পর্যবেক্ষকরা জানান, এই ধরনের বাধা ভোটের প্রতিবেদনে ও পর্যবেক্ষণে সমস্যা তৈরি করেছে, বিশেষত ২৮টি ডাকসু পদে ৪৭১ জন প্রার্থী এবং ১৮টি হলে ২৩৪টি হল সংসদীয় পদে ১,০৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এমন উচ্চপ্রোফাইল নির্বাচনে।
তবুও ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে চলছে, যা শিক্ষার্থীদের শক্তিশালী অংশগ্রহণের প্রমাণ। সাংবাদিকরা উল্লেখ করেছেন, সময়মতো ও বাধাহীন প্রবেশাধিকার ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা, জবাবদিহিতা এবং ভোটারদের আস্থা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি, তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী বিষয়টি নির্বাচন আইন মেনে চলা হচ্ছে কি না তা পর্যালোচনা করা হতে পারে।