কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের অফিসে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। মোসাদ, শিনবেত ও ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত এ অভিযানে অংশ নেয় ইসরায়েলের অন্তত দশটি যুদ্ধবিমান। সরাসরি কাতারের ভেতরে চালানো এই হামলা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক ভারসাম্যের ওপর গুরুতর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আল জাজিরার তথ্যমতে, হামলার সময় হামাসের আলোচক দল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করছিল। ইসরায়েলি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিলেন গাজা শাখার প্রধান ও শীর্ষ আলোচক খালিল আল-হায়্যা।

তবে হামাসের পক্ষ থেকে আল জাজিরাকে জানানো হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড মিশনে ইসরায়েল ব্যর্থ হয়েছে। হামাসের উচ্চপদস্থ সব নেতা অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। আল মায়াদিন ও আল জাজিরার তথ্য বলছে, খালিল আল-হায়্যার নেতৃত্বাধীন আলোচক দলটি সফলভাবে আক্রমণ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই হামলা শুধু হামাস নেতৃত্বকেই নয়, বরং কাতারের সার্বভৌমত্ব ও মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকেও বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।