চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় জামায়াতের ডাকা প্রতিবাদ সভায় অতর্কিত গুলি চালিয়েছে বিএনপি সমর্থক দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জঙ্গল সলিমপুর এসএস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রধানশিক্ষক ও জামায়াত ইসলামী নেতা শহিদুল ইসলামের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে জঙ্গল সলিমপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। জুমার নামাজের পর জামায়াতের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হতে থাকে। এ সময় ২০-৩০ জনের অস্ত্রধারী বিএনপি সন্ত্রাসী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়ে অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ হন জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী ও আব্দুস সালাম। এছাড়াও আহত হন সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন শিবলীসহ অন্তত ১০ জন। পরে বিএনপি সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীসহ ৭ থেকে ৮ জন নেতাকর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
সীতাকুন্ড উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুবউদ্দিন শিবলী বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এস এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক শহীদুল ইসলামকে গত বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি হামলা করে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই হামলার প্রতিবাদে ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আজ শুক্রবার বিকেলে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সভায় উপজেলা ও স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা সমবেত হলে বিএনপির একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সভা পণ্ড করে দেয়। এ সময় বিএনপির সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে দুই জামায়াত নেতাসহ ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহেল রানা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত আলাদা ভাবে প্রোগ্রাম করছিল। এ সময় বিএনপি সমর্থিত কিছু লোক এসে সভায় অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মীকে অবরুদ্ধ করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহতদের কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।