জামায়াতে ইসলামী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের বিরতিতে দলটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য পাঁচটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে জামায়াতের একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সমঝোতা হবে এবং জুলাই সনদই আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আইনগত ভিত্তি হিসেবে কার্যকর হবে।
দলটির আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “আমরা বলেছি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের যেসব সিদ্ধান্ত সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, সেগুলোকে বিশেষ আদেশের মাধ্যমে সংবিধানের উপরে প্রাধান্য দিতে হবে। অন্য ক্ষেত্রে সংবিধান বহাল থাকবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট জনগণের ইচ্ছার প্রকাশ ঘটেছে। সেই ইচ্ছাকে কার্যকর করতেই আলোচনা চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পর যখন সরকার, বিচার বিভাগ বা কার্যকর সংবিধান কিছুই ছিল না, তখন জনগণের ইচ্ছাই ছিল মূল সাংবিধানিক ভিত্তি।
শিশির মনিরের মতে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ জনগণের ইচ্ছার সর্বোচ্চ প্রাধান্য নিশ্চিত করেছে। তাই বিশেষ আদেশ জারি হলে আগামী নির্বাচনে কোনো বাধা থাকবে না। তিনি জানান, গণঅভ্যুত্থানের পর সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ভেঙে যাওয়ায় ১৫৩ অনুচ্ছেদের মধ্যে ৫৭টি কার্যকারিতা হারিয়েছে। এজন্যই নতুন বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের প্রয়োজন।
এক প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, বিকল্প হিসেবে গণভোটের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। তবে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে গণভোটের পথেই তা কার্যকর করা হবে।