রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে “ইমাম মাহদী” দাবি করা নুরাল হক ওরফে নুরাল পাগলার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে মেহেদী নূরতাজ ওরফে নূরতাজ নোভা বাবার ভণ্ডামির উত্তরসূরি হয়েছেন। তবে তিনি আরও ধূর্ত কৌশলে তরুণ-তরুণীদের ফাঁদে ফেলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নূরতাজ নোভা প্রকাশ্যে মাহদী দাবি না করে “শান্তি”র মুখোশ পরে গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাদা পোশাক পরিহিত একদল নারী-পুরুষকে নিয়ে তারা নিজেদের “আল্লাহর বান্দা” পরিচয় দেন এবং দরবার শরীফ ও বাউল গানের মাধ্যমে মানুষের কাছাকাছি আসেন। এরপর ধীরে ধীরে নিজেদের “ঈসা নবীর উম্মত” দাবি করে মুসলিম পরিবারের তরুণীদের টার্গেট করেন।
অভিযোগ রয়েছে, দরিদ্র পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের চাকরি ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। একবার ধর্মান্তরিত করলে সেই প্রভাবশালী মেয়েদের ব্যবহার করে আরও অনেককে প্রভাবিত করা হয়। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি বাড়ি তাদের গোপন আস্তানায় পরিণত হয়েছে, যেখানে চলে মগজধোলাই। চট্টগ্রামের একটি গির্জায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৪ জনের দল এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ফেরত আসা এক কিশোরীর পরিবার জানায়, মেয়েকে ফিরে পেতে তাদেরকে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে। তবে অনেকেই আর পরিবারের কাছে ফিরতে পারছে না। স্থানীয় ইমামরা জানিয়েছেন, এসব তরুণ-তরুণীদের আচার-আচরণ এখন পুরোপুরি খ্রিস্টানদের মতো হয়ে গেছে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, এখনই এই চক্র দমন না করলে এটি দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে এবং জাতীয় সংকটে পরিণত হতে পারে।