জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার গুম, হত্যা ও ফ্যাসিবাদী অপরাধের বিচার যেন নির্বাচনের পরও নিরবচ্ছিন্নভাবে চলে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একটি রোডম্যাপ চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য দিতে সেদিন দুপুরে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার ওপর যে নৃশংসতা চালানো হয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই আমাদের প্রথম দাবি ছিল বিচারপ্রক্রিয়া যেন যথাসময়ে এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।”
নাহিদ ইসলাম জানান, শেখ হাসিনার মামলায় তিনি হয়তো শেষ সাক্ষী। তার সাক্ষ্য শেষে এ মামলা রায়ের দিকে যাবে। তবে শুধু এই একটি মামলা নয়, সারা দেশেই গণহত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও গ্রেপ্তারের বহু ঘটনা রয়েছে, যার বিচার দীর্ঘমেয়াদে চলতে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবি—নির্বাচনের পরও এই বিচারপ্রক্রিয়া যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। ট্রাইব্যুনালসহ অন্যান্য আদালতে তা অব্যাহত রাখতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে একটি রোডম্যাপ দিতে হবে। একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলও যেন তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে এই অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত করে।”
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এখন পর্যন্ত প্রক্রিয়া সন্তোষজনকভাবে এগোচ্ছে এবং দ্রুত রায়ের দিকে যাচ্ছে। তবে বাকি মামলাগুলোতেও যেন যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিচারকাজ চালানো হয়। নির্বাচনের আগে সরকার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করবে—এ প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।