বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আশঙ্কা করেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।
তিনি লিখেছেন, একটি রাজনৈতিক দল কেন হঠাৎ পিআর পদ্ধতির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, সেটি প্রশ্নবিদ্ধ। তার মতে—
১/ যদি কোনো দলের ভোটশক্তি নিবন্ধিত ভোটারের তুলনায় খুবই নগণ্য হয়, তবে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নিজেদের মার্কায় আওয়ামী ভোট কাস্ট করাতে পারে। এর লক্ষ্য হতে পারে ক্ষমতা দখল কিংবা দেশের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা।
২/ দেশে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী (স্বশস্ত্র ও মতাদর্শভিত্তিক) সক্রিয়, যাদের বড় একটি অংশ ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে। তারা পিআর পদ্ধতির সুযোগ নিয়ে সংসদে বসে দেশের অংশবিশেষ আলাদা করার দাবি তুলতে পারে—যা ঠেকানো কঠিন হবে।
ইশরাকের মতে, এসব কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিলীন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও অন্যান্য সুপার পাওয়ারও এই প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করবে। অতীতে যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি এবং বর্তমানে যারা বিদেশি স্বার্থে দেশ বিক্রি করছে—তাদের উদ্দেশ্য এক।
তিনি স্পষ্ট করে জানান, বাংলাদেশের জনগণ কোনো দালাল গোষ্ঠীর কাছে রাজপথ ইজারা দেয়নি। দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড যারা করবে, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ইশরাকের ভাষায়—“দেশের জন্য জীবন দেব, কিন্তু ’৭১ ও ’২৪-এর রাজাকার কিংবা অন্য কোনো দালালের কাছে নত হব না, ইনশাআল্লাহ।”