বাংলাদেশে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। দুটিই এডিস মশাবাহিত রোগ, উপসর্গেও মিল থাকায় রোগী ও চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্ত হন। তবে চিকিৎসকদের মতে কিছু লক্ষণ দেখে পার্থক্য বোঝা সম্ভব।
ডেঙ্গুর উপসর্গ:
হাই ফিভার, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে র্যাশ
রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়া, রক্তক্ষরণ
শক সিনড্রোমে যাওয়ার ঝুঁকি
লিভার, হার্ট, কিডনিসহ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা
খাবারে অনীহা, বমি
চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ:
প্রথমে জ্বর, পরে থেমে থেমে জ্বর আসা
জয়েন্ট ও মাসলে তীব্র ব্যথা, হাত-পা ফুলে যাওয়া
র্যাশ খুব কম হয়
তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা
প্লাটিলেট কমে না, রক্তক্ষরণ হয় না
মৃত্যুঝুঁকি নেই, তবে দীর্ঘমেয়াদে কষ্ট থেকে যায়
সনাক্তকরণ:
ডেঙ্গু: জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ২-৩ দিনের মধ্যে টেস্টে ধরা পড়ে
চিকুনগুনিয়া: জ্বরের ৫-৭ দিন পর টেস্টে ধরা পড়ে (আইসিটি বা আরটি-পিসিআর মাধ্যমে)
চিকিৎসা:
উভয় রোগেই মূলত সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, ব্যথার ক্ষেত্রে চিকুনগুনিয়ায় পেইনকিলার ব্যবহার করা যায় (ডেঙ্গুতে নয়)। তরল ও ফল বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।