সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ দাবিকে উপেক্ষা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন তারা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সর্বদলীয় ইসলামী শিক্ষা রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে তিনি এ কথা বলেন। প্রাথমিক শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির পক্ষ থেকে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে— প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন যোগ্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা এবং ২০২৫ সালের গেজেটে প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে আলাদা নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা।
এ সময় জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রস্তাব দিচ্ছি। কিন্তু এ প্রস্তাব যদি সরকার উপেক্ষা করে, তবে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।”
অন্যদিকে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবির সমালোচনা করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, এ ধরনের দাবি বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দেশের সাংস্কৃতিক অধিকারের জন্য ক্ষতিকর। আসকের মতে, এই দাবি সমাজে বিভেদ ও ঘৃণা ছড়ানোর ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।