ভারতের অভিযোগ ও উদ্বেগের মধ্যেই বাংলাদেশের লালমনিরহাটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিত্যক্ত বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চীন ও পাকিস্তানের সহযোগিতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের আশঙ্কা—এখানে চীনের সামরিক সরঞ্জাম রাখা হলে তা তাদের জন্য কৌশলগত হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
লালমনিরহাটের এই বিমানবন্দরটি প্রায় ৫৪ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
ভারতের উদ্বেগ
বিমানবন্দরটি ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেক’ করিডোর (সিলিগুড়ি করিডোর)-এর খুব কাছাকাছি অবস্থিত।
ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, চীন এই বিমানবন্দর পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করবে এবং সেখানে যুদ্ধবিমান, রাডারসহ নজরদারি সরঞ্জাম মোতায়েন করতে পারে।
এ অবস্থাকে ভারত সরাসরি নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখছে এবং সামরিক অভিযান চালানোর হুমকিও দিয়েছে।
বাংলাদেশের অবস্থান
বাংলাদেশ এই প্রকল্পকে সম্পূর্ণ উন্নয়নমূলক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম জোরদার করতেই বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সরকার মনে করে। ভারতের কৌশলগত উদ্বেগকে বাংলাদেশ আমলে নিচ্ছে না।