তালিবান সরকারের সাম্প্রতিক এক সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিবিসি এবং কিছু পশ্চিমা গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক ও প্রোপাগান্ডামূলক সাংবাদিকতা আবারও সামনে এসেছে। সম্প্রতি তালিবান সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে শরিয়াহ ও নীতিবিরোধী ৬৮০টি বই প্রত্যাহার করেছে। এসব বইয়ের মধ্যে মাত্র ১৪০টি নারী লেখকদের লেখা হলেও বিবিসি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে সেই অংশকেই বড় করে তুলে ধরেছে।
সমালোচকরা বলছেন, এটি আসল তথ্যের আংশিক উপস্থাপন এবং বায়াসড সাংবাদিকতার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। অথচ মূল বাস্তবতা হলো—তালিবান সরকার শরিয়াহ-বিরোধী নীতির কারণে মোট ৬৮০টি বই প্রত্যাহার করেছে। নারী লেখকদের লেখা বই ছিল সেই তালিকার একটি ছোট অংশ মাত্র।

এমন পক্ষপাতমূলক শিরোনাম শুধু বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করছে না, বরং এটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমেও যাচাই-বাছাই ছাড়াই কপি-পেস্ট হচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক পাঠকের কাছে একটি বিকৃত ধারণা তৈরি হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা মিডিয়ার এ ধরনের প্রোপাগান্ডা নতুন নয়। বিশেষত গাজা ইস্যুতে তারা প্রকাশ্যে দ্বিমুখী ভূমিকা পালন করেছে। নিরীহ মানুষের হত্যাযজ্ঞ আড়াল করে ইসরায়েলপন্থী বয়ানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। একইভাবে তালিবান ইস্যুতেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।
গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সাংবাদিকতা শুধু সংবাদ পাঠকের আস্থাই নষ্ট করছে না, বরং মূল ইস্যুকে আড়াল করে বিকৃত বয়ান প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।