ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইম্ফল শহরের উপকণ্ঠে ওত পেতে থাকা বন্দুকধারীদের গুলিতে আসাম রাইফেলসের দুই জওয়ান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জওয়ান আহত হয়েছেন।
সেনা সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে আসাম রাইফেলসের একটি ৪০৭-টাটা গাড়ি তাদের পাতসই কোম্পানির অপারেশনাল বেস থেকে নামবল বেসের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় নামবল সবল লাইখাই এলাকার মহাসড়কের ধারে ‘ডিনোটিফায়েড জোনে’ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার স্থানটি ইম্ফল ও চূড়াচান্দপুরের মাঝামাঝি এলাকায়, যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সফর করেছিলেন।
আহত সেনাদের দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে আঞ্চলিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান ইম্ফল আরআইএমএস হাসপাতালে। তবে এ হামলার দায় এখনো কোনো সংগঠন স্বীকার করেনি। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যেই তল্লাশি চালাচ্ছে।
মণিপুরের গভর্নর অজয় কুমার ভাল্লা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিহত জওয়ানদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বলেন, “এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, মণিপুরের ১৩টি থানা এলাকা ছাড়া পুরো রাজ্যেই বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) কার্যকর রয়েছে। নামবল এলাকা আফস্পার আওতার বাইরে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মণিপুরে বর্তমানে নয়টি নিষিদ্ধ মেইতেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। অতীতে এ গোষ্ঠীগুলো আসাম রাইফেলসের ওপর একাধিক হামলার জন্য দায়ী, যার মধ্যে ২০২১ সালের নভেম্বরে চূড়াচান্দপুরে কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠি, তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও তিন জওয়ানকে হত্যার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।