একদিন আগেও বাংলাদেশের সমর্থকরা শ্রীলঙ্কার পক্ষে সুর তুলেছিলেন। কিন্তু এবার আর লঙ্কানদের জন্য উৎসাহ দেখাবেন না কেউ। কারণ সুপার ফোরের লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এখন শ্রীলঙ্কা। রানরেট আর আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে সুপার ফোর নিশ্চিত করা বাংলাদেশ আজ মুখোমুখি হবে লঙ্কানদের। ম্যাচটি শুরু হবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাত সাড়ে ৮টায়।
গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চার পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ইমন, শরিফুল ইসলাম, শেখ মাহেদি ও তানজিম সাকিব ছিলেন বাইরে। তবে আজ দুবাইয়ে তানজিম সাকিব ও পারভেজ ইমন একাদশে সুযোগ পেতে পারেন। আগের ম্যাচে চার বোলার নিয়ে নামলেও এবার পাঁচজন বোলার খেলানোর পরিকল্পনা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে শামীম পাটোয়ারি ও সাইফ হাসান পঞ্চম বোলারের ঘাটতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ফলে তানজিম সাকিবের ফেরাটা প্রায় নিশ্চিত। অলরাউন্ডার হিসেবে শেখ মাহেদিকেও ভাবনায় রাখা হলেও সম্ভাবনা কম। নাসুম আহমেদ আগের ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে দারুণ বোলিং করেছেন। তবে উইকেটের অবস্থা বিবেচনায় নাসুমের সঙ্গে মাহেদিও জায়গা পেতে পারেন।
গ্রুপপর্বে দুই দলের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা ৩২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় পায়। সেদিন নুয়ান থুসারার দুর্দান্ত বোলিং বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনকে ভেঙে দেয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও তিনি ছিলেন সমান কার্যকর। তার বিপক্ষে সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি কুশল মেন্ডিস ও কুশল পেরেরাও সবসময় বাংলাদেশের জন্য আতঙ্কের নাম। তারা উইকেটে টিকে গেলে লঙ্কানদের বড় সংগ্রহ সময়ের ব্যাপার মাত্র। এছাড়া স্পিন আক্রমণে শক্তি বাড়াতে দলে ফিরবেন মহেশ থিকসানা। তরুণ স্পিনার দুনিথ ভেল্লালেগের বাবার মৃত্যুতে দেশে ফেরায় এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার স্পিন আক্রমণ আরও দৃঢ় হবে।
তবে বাংলাদেশের ভরসার জায়গাও আছে। সবশেষ দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে লঙ্কানদের মাটিতেই ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল লিটন দাসরা। সেই আত্মবিশ্বাস এবার কাজে লাগাতে মরিয়া থাকবে দল।
ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে দুবাইয়ের উইকেটের ওপর। এশিয়া কাপে আবুধাবিতে ব্যাটাররা যেখানে ১১৯.৫০ স্ট্রাইকরেটে খেলেছেন, সেখানে দুবাইয়ে গড় স্ট্রাইকরেট মাত্র ১০৯.২৬। ধীরগতির এই উইকেটে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন। ফলে ম্যাচ গড়াতে পারে লো-স্কোরিং লড়াইয়ে। মিরপুরে নিয়মিত এ ধরনের ম্যাচ খেলার অভ্যাস থাকায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে, পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারার জন্য খ্যাত শ্রীলঙ্কাও সমানভাবে লড়াইয়ে থাকবে। শেষ পর্যন্ত কারা জয় দিয়ে সুপার ফোর শুরু করতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।