ঢাকার “বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ”-এর এইচএসসি-১৯ ব্যাচের মেধাবী ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা কলেজ জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি BNCC, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্কসহ সবক্ষেত্রেই ছিলেন দারুণ সক্রিয়। টানা দুই বছর ক্লাস লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। একাডেমিক ও অতিরিক্ত কার্যক্রম—দুটো ক্ষেত্রেই সহপাঠীদের কাছে ছিলেন রোল মডেল।
পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে টকশো হোস্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন খাদিজা। সরকারের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে কিছু যৌক্তিক প্রশ্ন করার পরই তার জীবনে নেমে আসে দুঃস্বপ্ন। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খাদিজা ছিলেন কিডনি রোগী। ১৫ মাসের কারাবাসে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটে, পাশাপাশি একাডেমিক ক্যারিয়ারও ধ্বংস হয়ে যায়। তার মা একের পর এক দরজায় কড়া নেড়ে মেয়ের মুক্তির আবেদন জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো ফল মেলেনি।
জেল থেকে বের হয়ে খাদিজা শুধু বলেছিলেন: “আমার ওপর দিয়ে এইসব দিন কীভাবে গেছে সেটা মনে করতে চাই না।”
আজ কোথাও নেই খাদিজাতুল কুবরা—না সংবাদে, না আলোচনায়। তার মেধা, স্বপ্ন আর যোগ্যতা চাপা পড়ে আছে ক্ষমতার গর্জনের নিচে।