ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা অভিযোগ করেছেন, রাজনীতিবিদরা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সর্বমিত্র চাকমা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক মন্তব্য—‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসায় পরিণত হয়েছে’—শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান নয়, বরং আলিয়া ও কওমী মাদ্রাসার কোটি শিক্ষার্থীর প্রতিও অপমান। তার মতে, এ ধরনের বক্তব্য মূলত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি ঘৃণা ও বৈষম্যের প্রকাশ।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে সর্বমিত্র লিখেছেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মতো প্রান্তিক জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য হিসেবে আমি বৈষম্যের বেদনা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারি। যারা মাদ্রাসা নিয়ে ঘৃণা ছড়ায়, তারাই আমাদের স্বকীয়তা ও সংস্কৃতি মুছে বাঙালি হয়ে যেতে বলে।’
এছাড়া জামায়াতপন্থী ওয়াজকারী আমির হামজার বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন সর্বমিত্র চাকমা। হামজা দাবি করেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে আজান বন্ধ ছিল এবং শিবির ডাকসুতে জেতার পর তা চালু হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে সর্বমিত্র বলেন, এই দাবি মিথ্যা। হাসিনা সরকারের সময় ছাত্রলীগ আজান দিতে বাধা দিলেও জুলাই বিপ্লবের পর তা দূরীভূত হয়, তবে মুহসীন হলে এমন কোনো তথ্য নেই।
তার মতে, এ ধরনের অতিরঞ্জিত বক্তব্য শুধু কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষকে হালকা করে দেখায় এবং হাসির খোরাকে পরিণত করে। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, একটি রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী যদি এমন বক্তব্য দেন, তবে দলের নীতিনির্ধারকদের প্রজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।