ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর) থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে আলাদা করে ফরিদপুর-৫ আসন গঠন না করার বৈধতা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।
রিট আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম রেজা, আইনজীবী এম. ফাহাদ খান, ব্যবসায়ী এম. এম. শহিদুল ইসলাম শাহীন, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাজাহান শিকদারসহ সদরপুর ও চরভদ্রাসনের আরও ১৬ জন।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী জানান, ইসি সম্প্রতি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ওই প্রজ্ঞাপনে ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর মিলে ফরিদপুর-৪ আসন রাখা হয়। কিন্তু এতে ভাঙ্গাকে স্বতন্ত্র আসন (ফরিদপুর-৫) হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়নি। এ প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করেই রিট দায়ের করা হয়।
তিনি আরও জানান, ২০০৮ সালে ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ দুটি আলাদা আসন একীভূত করে বর্তমান কাঠামো তৈরি করা হয়। আবেদনকারীরা আগের মতো দুটি স্বতন্ত্র আসন পুনর্বহালের আবেদন করেছিলেন, তবে ইসি তা নামঞ্জুর করে।
অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার গেজেট প্রকাশ হলে সে বিষয়েও হাইকোর্ট আগে রুল জারি করেছে।