বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক জাতীয় পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “হাসিনা প্রতিপক্ষকে ভোটে দাঁড়াতেই দেননি, তার শাস্তি পেয়েছেন। আমরা কেন সেই ভুল করব? আমরাও প্রতিফল পাব। মানুষ এত রক্ত, এত প্রাণহানি দেখেছে—তাদের মধ্যে আওয়ামী বিরোধিতা প্রবল।”
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) কলকাতার বাংলা দৈনিক এই সময়–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে এবং তা হবে “উৎসবমুখর” পরিবেশে। তিনি দাবি করেন, মানুষ ভোটাধিকার ফেরত চাইছে, নির্বাচন চাইছে, সেনাবাহিনীও চায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
জামায়াতের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, “জামায়াত ভোটে আসবে। প্রচলিত পদ্ধতিতেই ভোট হবে। জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এনসিপিকে আমরা কোনো শক্তি বলেই মনে করি না।”
তিনি আরও জানান, জামায়াত বিএনপির কাছে ৩০টি আসন চেয়েছিল, তবে বিএনপি সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। “জামায়াতকে আমরা আর মাথায় উঠতে দেব না,” বলেন ফখরুল।
ভারতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত সহযোগী ছিল, তাই প্রভাব থাকবেই। তবে ভারতের ভুল হলো বাংলাদেশকে শুধু আওয়ামী লীগ দিয়ে দেখা। বিএনপি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।