ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটের দিন সকাল থেকে প্রত্যেকটি সংবাদমাধ্যম লাইভ সম্প্রচার করেছে। সেই লাইভে খালি ব্যালট বক্সই দেখা গেছে, যেখানে প্রার্থীদের এজেন্টরাও উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন চলাকালে ডাকসুতে ছাত্রদলসহ প্রায় কোনো সংগঠনই ভোট বর্জন করেনি। তাদের নিয়োগকৃত এজেন্টরা পুরো নির্বাচনী কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছে। ভোটের সময় নির্বাচনী কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিংহভাগ শিক্ষক বিএনপি ঘরানার ছিলেন, পাশাপাশি বামঘেঁষা শিক্ষকও কমিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এমনকি ভোটার ঢাবি শিক্ষার্থীরাও নিজেরাই ব্যালটের দাগ দেখে ভোট দিয়েছেন। অথচ পরবর্তীতে কোনো শিক্ষার্থী ব্যালট নিয়ে অভিযোগ তোলে নি। বরং উমামার প্যানেলের প্রার্থী রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা তার বান্ধবীর বরাতে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন, যা পরে প্রমাণিত হয়েছে মিথ্যা।
তারপরও ছাত্রদল ও শাহবাগী বাম দলগুলো হারের পর থেকে অব্যাহতভাবে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাধারণ এক ছাত্র সংসদ নির্বাচনে হার মানতে না পারা প্রমাণ করে—জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় পরাজয় এলে তারা গণতান্ত্রিক ফলাফল মেনে নেবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।