ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে অতিরিক্ত ব্যালটপেপার ছাপানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষকরা এই ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনের ব্যালটপেপার ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কেরানীগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সাদাদলের শিক্ষকরা গোপনে নীলক্ষেতে অতিরিক্ত ব্যালটপেপার ছাপানোর উদ্যোগ নেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, এসব অতিরিক্ত ব্যালটপেপার ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হাতে পৌঁছানো হয়, যাতে তারা নির্বাচনের দিন অতিরিক্ত ভোট প্রদান করতে পারে। তবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কড়া যাচাই-বাছাই, স্বচ্ছ প্রক্রিয়া এবং সিসিটিভি নজরদারির কারণে কেউ অতিরিক্ত ভোট দিতে সক্ষম হয়নি। ফলে তাদের আগাম পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
এদিকে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছাত্রদল দাবি করে যে তারা নীলক্ষেতে ব্যালটপেপার ছাপানোর তথ্য নির্বাচনের দুই দিন আগেই জানত। প্রশ্ন উঠেছে, তারা তখনই কেন বিষয়টি প্রকাশ করেনি? বিশ্লেষকদের মতে, আসল কারণ ছিল ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। যদি আগে বিষয়টি প্রকাশ পেত, তবে অতিরিক্ত ব্যালটপেপার ছাপানোর পরিকল্পনা এবং নির্বাচন বানচালের চেষ্টাও জনসমক্ষে চলে আসত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্রদল আগেই আঁচ করতে পেরেছিল যে নির্বাচনে তারা ভরাডুবির মুখে পড়বে। তাই পরাজয়ের পর ফলাফলকে বিতর্কিত করতে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠুতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা পরিকল্পিতভাবে দুই সপ্তাহ পর এই নাটক সাজায়। ফলে পুরো বিষয়টি এখন নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।